ক্ষতরোগ :

এ রোগকে ইপিজুটিক আলসারেটিভ সিনড্রোম বলা হয়ে থাকে আক্রান্ত মাছঃ শোল, গজার, টাকি, পুঁটি, বাইম, কৈ, মেনি, মৃগেল, কার্পিও এবং পুকুরের তলদেশে বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির মাছ

রোগের লক্ষণঃ

  1. আক্রান্ত স্থানে তুলার মত সাদা পদার্থ জমা হয়
  2. লেজ ও পাখনায় সাদা দাগ সৃষ্টি হয়
  3. লেজ ও পাখনার পচন ধরে এবং ক্ষয় ধরে
  4. মাছ দেহের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে রোগ দেখা দেয়ার ২-৩ দিনের মধ্যে ব্যাপক হারে মাছ মারা যায়

চিকিৎসাঃ

  1. আক্রান্ত মাছকে ধরে ০.৫%, ১.০% ও ২.০% লবণ মিশ্রিত পানিতে ২০-২৫ মিনিট অথবা যতক্ষণ সহ্য করতে পারে ততক্ষণ পর্যমত্ম গোসল করালে ভাল ফল পাওয়া যায়
  2. মাছের খাদ্যের সাথে প্রতি কেজি খাদ্যের জন্য ৫০-৭৫ মিলিগ্রাম অক্সিটেট্রাসাইক্লিন অথবা ১০০-১২৫ মিলিগ্রাম সালফার জাতীয় ঔষধ মিশিয়ে ৭ দিন যাবৎ মাছকে খাওয়ানো যেতে পারে
  3. আক্রান্ত ব্রুড মাছের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি দেহের ওজনের জন্য ১০০ মিলিগ্রাম হারে অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ইনজেকশন প্রদান করা যেতে পারে।

প্রতিরোধ

  1. মাছ ছাড়ার পূর্বে পুকুরে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে এবং পুকুরের তলার অতিরিক্ত কাদা তুলে ফেলতে হবে
  2. সঠিক ঘনত্বেব মাছ মজুদ করতে হবে
  3. পুকুরে পরিমিত মাত্রায় সার ও খাদ্য প্রদান করতে হবে
  4. সুস্থ সবল পোনা মজুদ করতে হবে
  5. মজুদের পূর্বে মাছের পোনাকে শতকরা ১ ভাগ লবণ মিশ্রিত পানিতে ২০-২৫ মিনিট গোসল করালে রোগ সংক্ষমণের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়